আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুই দফায় বৈঠক শেষ করল।
বিশ্বের নজর হোয়াইট হাউজে তাদের আলোচনার দিকেই ছিল - হয়তো এবার থামবে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ, ক্ষণিকের জন্য হলেও বন্ধ হবে রক্তপাত। একটিবারের জন্য হলেও যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসবে বলেই ধারণা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেই আশা আবারও অপূরণই রয়ে গেল। ২৪ ঘণ্টায় দুই দফা বৈঠকের পরও আসেনি শান্তির বার্তা। বিশ্বজুড়ে যে বৈঠক সামান্য আশার আলো জাগিয়েছিল, তা শেষ পর্যন্ত থেমে গেল শুধু কূটনৈতিক সৌজন্যের আড়ালেই, কোনো কার্যকর ফল ছাড়াই।
বুধবার এএফপির খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ বৈঠকের পর গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি আলোচনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছিল। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউজে এক ঘণ্টারও বেশি চলা বৈঠকের পরও এ বিষয়ে কোনো প্রকাশ্য ঘোষণা ছাড়াই নীরবে হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করেন নেতানিয়াহু।
সোমবার রাতে হোয়াইট হাউজে এক নৈশভোজের সময় দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছিল এ দুই নেতা। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পর এটিই নেতানিয়াহুর তৃতীয় ওয়াশিংটন সফর। বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছে, ‘গাজার পরিস্থিতি একটি ট্র্যাজেডি। আমরা এর সমাধান চাই এবং আমার বিশ্বাস, অন্য পক্ষও তা চায়।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, আলোচনার বিস্তারিত তথ্য খুব কমই জানা গেছে। কারণ, বৈঠকটি কঠোরভাবে গোপন রাখা হয়েছিল। ♦
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভেন উইটকফ জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছানো গেছে। তিনি বলেছেন, আমরা আশা করছি, এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে। এতে ১০ জন জীবিত বন্দি এবং ৯ জন নিহত ফিলিস্তিনির লাশ ফেরত দেওয়া সম্ভব হতে পারে। অন্যদিকে হামাসের সঙ্গে দখলদার ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি হতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কাতার।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আশরাক নিউজ জানিয়েছে, কাতারে পঞ্চম দফায় ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে আলোচনা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে। একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আলোচনা ‘স্থবির অবস্থায়’ রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘ইসরাইলি প্রতিনিধিদল আলোচনার পরিবর্তে শুধু শোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।’ ওই কর্মকর্তা আরও দাবি করেছেন, ‘ইসরাইলি প্রতিনিধিদলের প্রকৃত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। যে কোনো সম্ভাব্য চুক্তিতে পৌঁছাতে নেতানিয়াহু সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭,৫৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭৯ জন। ♦
Your Comment